পাবনা প্রতিনিধি: এক সময় গ্রামবাংলার মানুষের নির্ভরযোগ্য বাহন ছিল ঘোড়া ও গরুর গাড়ি। যান্ত্রিক বাহনের দৌরাত্ম্যে এখন বিলুপ্তির পথে এ বাহনগুলো। কিন্তু সেই ঘোড়ার গাড়িই এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি জমি থেকে কাদাপানি ভেদ করে যান্ত্রিক বাহনগুলো চলতে পারে না।
অথচ ঘোড়ার গাড়ি সেই সব স্থান থেকে অনায়াসে পণ্য বহন করে আনতে সক্ষম। ফলে কৃষিপণ্য বহনে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিলুপ্ত প্রায় ঘোড়ার গাড়ি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাঁচ বেতুয়ান, পাটুল, মাগুরা, নৌবাড়ীয়া, দিলপাশার, কৈডাঙ্গা, শরৎনগরসহ আশপাশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন এই গাড়ি ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাঁচ বেতুয়ান গ্রামের লোকমান প্রামানিকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত দুই বছর আগে ১০ হাজার টাকায় ঘোড়াসহ একটি ঘোড়ার গাড়ি কিনেন এবং ভাড়ায় কৃষিপণ্য বহন করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন।
প্রতিদিন ঘোড়ার খাবার বাবদ তার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হয়। অবশিষ্ট ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দিয়ে তিনি তার পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকা চালান।
ঘোড়ার খাবার ছাড়া বাড়তি কোনো খরচ নেই। অবসর সময়ে ঘোড়াটিকে কৃষি জমিতে ঘাস খাওয়ার জন্য ছেড়ে দেন। তার গ্রামে আরো বেশ কয়েকজন এখন এ পেশায় রয়েছেন।
উপজেলার অনেকেই এখন তারা পেশা পরিবর্তন করে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানা গেছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘোড়ার গাড়ি আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য।
প্রয়োজনের তাগিদেই পুনরায় এখন হারিয়ে যাওয়া সেই ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন শুরু হয়েছে।