মোস্তাফিজার রহমান জাহাঙ্গীর,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কোনো অবজ্ঞা অবহেলা নয়,ভাষা শহিদের প্রতি এ এক অকৃত্রিম ভালোবাসা। শহিদ মিনার তৈরির পর এই প্রথম পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হলো একুশের প্রথম প্রহরে। ইস্টিলের তৈরি এ শহিদ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের সৈয়দ হক মঞ্চের সাথে স্থাপিত হয়েছে। মঞ্চের পাশেই রয়েছে বঙ্গভাষা লেখক জাদুঘর।
জাদুঘরের পরিচালক মাহফুজার রহমান জানান, একদিকে অর্থ অন্যদিকে জায়গার অভাবে আমরা স্টিল দিয়ে একুশ ইঞ্চি শহিদ মিনার নির্মাণ করেছি। অর্থ ও জায়গার অভাব থাকলেও ভাষা শহিদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ভালোবাসার অভাব নেই।
প্রথমবারের মতো ছোট্ট এ মিনারে পুষ্প অর্পণ করেন সৈয়দ শামসুল হক কালচারাল ক্লাবের পক্ষে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান এবং বঙ্গভাষা লেখক জাদুঘরের পক্ষে জাদুঘরের পরিচালক মাহফুজ রহমান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বড়ভিটা কলেজের অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ মিয়া ও পুর্বচন্দ্রখানা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনোদ চন্দ্র রায় সহ আরও অনেকে।
এলাকাবাসী রফিকুল ইসলাম জানান, এত ছোট শহিদ মিনার জীবনে কোথাও দেখিনি বা শুনিনি। আমার বাড়ির পাশেই শহিদ মিনারটিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
সৈয়দ শামসুল হক কালচারাল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, একুশ ইঞ্চি শহিদ মিনার বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর কোথাও নেই। এটা হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো শহিদ মিনার। প্রচার পেলে এটা গ্রিনিজ বুকে জায়গা করে নিতে পারে। ভবিষ্যতে আমরা এ একুশ ইঞ্চি শহিদ মিনার রুপা দিয়ে তৈরি করবো।