এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার। সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের জুন মাস থেকেই তারা আলাদা থাকছেন।
রাকিব বলেন, ‘গত বছরের জুন মাস থেকে আমরা আলাদা থাকছি। আমি ও মাহি উত্তরায় আলাদা বাসায় থাকতাম।’কেনো আলাদা বাসায় থাকতেন সেটাও জানিয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী। রাকিব জানালেন, একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করেই তাদের দু’জনের দুরত্ব বাড়ে। এরপর আলাদা থাকতে শুরু করেন মাহি।
রাকিব সরকার বলেন, ‘আমার মোবাইলে আসা আমারই পরিবারেরই একজনের একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করে মাহির মন খারাপ হয়। এরপর সে আমার বাসা থেকে তার মায়ের বাসায় চলে যায়।’
মাহি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে তার স্বামী বলেন, ‘মাহিকে বাসায় ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। একটা পর্যায়ে আমি নিজেই মাহির সঙ্গে তার মায়ের বাসায় উঠি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের সদস্যরা মিলেও বোঝাতে পারিনি। একসময় একটু বুঝেছে, আবার আরেক সময় উল্টে গেছে। এভাবেই আলাদা থাকার দিনগুলো চলে আসছি। যেটি বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াচ্ছে।’
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে রাকিব বলেন, ‘মাহির পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, তা এখন ৯৯ ভাগই বিচ্ছেদের পথে। এক ভাগ নিয়েও আমি আশাবাদী। চেষ্টা করে যাচ্ছি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কারণ আমি মাহিকে বিয়ে করি পরিবারের অমতে। বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান মাহিয়া মাহি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ব্যাপারে তখন কিছুই জানাননি তিনি। কিন্তু এরপর থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন সময় করা পোস্টে নিজের একাকিত্বে ভোগা ও আস্থাহীনতার বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি