বগুড়া প্রতিনিধিঃ– বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফতেহ আলী ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করতে নদীর পশ্চিমাংশের অধিগ্রহণকৃত জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বগুড়ার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উচ্ছেদ অভিযানে ২৫টি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এতে ব্রিজটির ১০ শতক জমি উদ্ধার হয়।
চলতি বছরেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ফতেহ আলী ব্রিজের নির্মাণ কাজ। ১৯ কোটি ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৬ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু উদ্বোধনের পর জমি অধিগ্রহণ ও পিলার খনন জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল এর কাজ। ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই ব্রিজের দু’পাশে আড়াই মিটার করে ফুটপাত থাকবে। ব্রিজটি বগুড়াবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব বগুড়ার তিন উপজেলার কয়ে লাখ মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুহুল আজমসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সেতুটির পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর নদীগর্ভে ১৮ মিটার বোরিং শেষে ৩ থেকে ৫ মিটার পাথরের স্তর পাওয়া যায়। যে কারণে কাজে কিছুটা ধীরগতি আসে। এছাড়া জমি অধিগ্রহণে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেটি বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটের উপস্থিতিতে ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।