বিনোদন ডেস্কঃ- কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল শাহরুখের পর এবার বুর্জ খলিফায় প্রদর্শন হবে শাকিবের সিনেমা। আগামী ২৮ মার্চ শাকিব খানের জন্মদিন। সেদিনই দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় ‘রাজকুমার’ সিনেমার ট্রেলার দেখানো হবে, শুভেচ্ছা জানানো হবে জন্মদিনের।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটলে ভার্সেটাইল মিডিয়ার তরফে আয়োজিত হয় ‘ইফতার উইথ টিম রাজকুমার’। আর সেখানেই এমন ঘোষণা দেন সিনেমার প্রযোজক আরশাদ আদনান।
অন্যদিকে শাকিবের ‘দরদ’ সিনোমর নির্মাতা অনন্য মামুনও একই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তিনিও সিনেমাটির প্রচারণা চালাতে চান বুর্জ খলিফায়।
তবে বুর্জ খলিফায় যে কোনো সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপন প্রচারণার জন্য কত টাকা ব্যয় হয়? এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খায় অনেকের মনেই।
বিভিন্ন আন্তজার্তিক পোর্টাল ও মাধ্যম হতে জানা গেছে, ১৬৩ তলা বুর্জ খলিফায় একটি বিজ্ঞাপন বা বার্তা দেওয়ার জন্য খরচ হয় আমিরাতি দিরহাম আড়াই লক্ষ থেকে প্রায় এক মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম পর্যন্ত। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কিংবা সিনেমা প্রচারের খরচের হিসাব নির্ধারণ করে ‘বুর্জ খলিফা ইন ইমার’। সময় এবং দিনের হিসাব করে এই টাকা নিয়ে থাকে তারা। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এক পরিমাণ অর্থ এবং ছুটির দিন বাদে, ভিন্ন পরিমাণ অর্থ নেয় সংস্থাটি। আর সময়ের হিসাবে এক থেকে তিন মিনিটের কোনো বিজ্ঞাপন বা বার্তা প্রদর্শনের জন্য, এর সমপরিমাণ অর্থ নেয় তারা।
জানা গেছে, ছুটির দিন বাদে, এক থেকে তিন মিনিটের ভিডিও বার্তার জন্য আমিরাতি দিরহাম আড়াই লাখ দিরহাম নিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশি টাকাতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু সপ্তাহের ছুটির দিনে সাড়ে তিন লাখ আমিরাতি দিরহাম নেয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা।
সিনেমা, বিজ্ঞাপন কিংবা কোনো বার্তার পুরো প্রদর্শনগুলো পরিচালনা করে দুবাইভিত্তিক মার্কেটিং এজেন্সি ‘মুলেন লো মেনা’। শুধু তাই নয়, লাইভ হওয়ার চার সপ্তাহ আগে অর্থসহ সকল কিছু জমা দিতে হয় তাদের কাছে। পরে সেসব এটির মালিক ‘ইমার প্রপার্টিজ’ দ্বারা অনুমোদন করিয়ে নেয় তারা। এই ভিডিও প্রচারের সময়, ডিসপ্লেতে কোনো মিউজিক যোগ করলে সে ক্ষেত্রে আলাদা কোনো অর্থ দিতে হয় না তাদেরকে।