ইউক্যালিপটাসের প্রায় ৭০০ প্রজাতি আছে। এই গাছ েেক কিনো,তেল ও ট্যানিন পাওয়া যায়। বেশ কিছু ইউক্যালিপটাস এর প্রজাতিতে গাম নিঃসরণের কারণে এরেকে গাম ট্রি হিসেবে অবিহিত করা হয। দেশের উত্তরাঞ্চলে এই গাছের ক্ষতিকর কিগুলো না জেনে অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় অনেকেই এই গাছ লাগান। এমনকি স্কুল-কলেজ-ম্রাাসা, বসতবাড়ি,অফিস-আালত,রাস্তারুধারে, ফসলের মাঠে পর্যন্ত এ গাছ খেতে পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রাণালয় এক প্রজ্ঞাপনে েেশ ইউক্যাীলপটাস গাছের চারা উৎপান নিষিদ্ধ করেন। এই গাছ একটি কাঠের গাছ যা প্রকৃতিগত অষ্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। কেনিয়া,ব্রাজিল,ক্ষিন আফ্রিকায় এই গাছ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কৃষি ও পরিবেশবিরা বলছে, গাছটির মুল থাকে ১৫ মিটার গভীরে। এই গাছ আশেপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকার ও ভ‚গর্ভের প্রায় ৫০ ফুট নিচের পানি শোষণ করে আকাশে উঠিয়ে য়ে। এই গাছ রাতনি ২৪ ঘন্টাই পানি শোষণ করে আকাশে উঠিয়ে য়ে। ফলে মাটিতে পানিশুণ্যতা খো য়ে। এই গাছের পানি ও খনিজ লবন ছাড়াও এই গাছ অতিরিক্ত পানি শুষে ডালপালায় জমা রাখে। ফলে যে জায়গায় গাছটি লাগানো হয়, সে স্থানটি হয়ে পড়ে পানিশূন্যে। কমে যায় উর্বরতা শক্তি। এতে পানির স্তর নিচে নামাসহ অন্য প্রজাতির গাছের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়ে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ে। এসব ক্ষতিকর কি জানার পর উপজেলার নানা স্থানে এই গাছ লাগানোর হিড়িক পড়ে গেছে। উপজেলার জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই গাছের পাতায় এক ধরণের অ্যন্টিসেপটিক থাকায় এর নিচে ছোট গাছ বাড়তে পারে না। মারা যায় পোকা-মাকড়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ। আমীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চ›্র অধিকারী জানান, এই গাছ মাটি েেক
প্রচুর পরিমানে পানি শোষণ করে। প্রমাণ সাইজের ইউক্যালিপটাস গাছের শিকড় মাটির
প্রায় ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। কোথাও এই গাছ বেশি সংখ্যক লাগালে কয়েক
বছরের মধ্যেই সেখানকার মাটি শুস্ক হয়ে পড়ে। যেকোনে ভুগর্ভস্থ জলের স্তরও নেমে যায়।