নিউজ ডেস্কঃ– টেলিভিশনে তার জনপ্রিয়তা বিপুল। ‘মিঠাই’ শেষ হয়েছে বেশ কিছু দিন হলো। মাঝের এসময়টা টেলিভিশন থেকে বিরতি নিয়েছেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু। সদ্য বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার। তা-ও আবার দেবের বিপরীতে ‘প্রধান’ ছবিটির মাধ্যমে। এ ছাড়াও বিজ্ঞাপন, ফোটোশুট তো আছেই।
বড় পর্দার নায়িকা হিসেবে উত্তরণ ঘটার পর কি ব্যস্ততা বেড়েছে সৌমিতৃষার? দোলের সময় শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলে পার্টি। শোয়ের জন্য ডাক পড়ে নায়ক-নায়িকাদের। সৌমিতৃষার কি দোলে তেমন কোথাও ডাক পড়ল?
দোলের উৎসবে শহর কলকাতা নয়, বরং সৌমিতৃষার মন টানে বৃন্দাবন। ব্রজবাসীদের সঙ্গে রং খেলায় মাতার ইচ্ছে তার। ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের মতো বাস্তব জীবনেও কৃষ্ণভক্ত অভিনেত্রী। গত বছরই বৃন্দাবন ঘুরে এসেছেন তিনি। খুব শিগগিরই দীক্ষিত হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। তবে দোলে নাকি বাড়ি থেকে বের হন না সৌমিতৃষা। তবে বাড়িতে দোল খেলেন।
সৌমিতৃষার বলেন, ‘আমার দোল আসলে শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। কারণ তিথি অনুযাযী রবিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত তিথি। আমার বাড়িতে আসলে তিথি মেনে রাধামাধবের পূজো হয়। কিন্তু দোলের দিন আমাকে ছোটবেলা থেকেই বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয় না।’
তবে কী কারণে অভিনেত্রীর বাড়িতে এমন বিধিনিষেধ? অভিনেত্রী সঠিক কারণ জানেন না। তবে, খানিক বাধ্য মেয়ের মতোই বাবা-মায়ের আদেশ পালন করেন। সৌমিতৃষার কথায়, ‘আসলে যত বড়ই হয়ে যাই না কেন, পারিবারিক কিছু মূল্যবোধ রয়েছে, যা মেনে চলি। আর এখনো তো তাদের বাড়িতেই থাকি, তাই ওদের কথা শুনি চলি।’
এমনিতেই দোলে খাওয়াদাওয়ার একটা বড় পর্ব থাকে। সেই দিক থেকে ব্যতিক্রম নন সৌমিতৃষা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়িতেও অনেক পদ হয়। কিন্তু সব নিরামিষ। মাছ-মাংস খাওয়ার চল নেই ওই দিনটাতে।’
দোলে দিনের বিশেষ কারো রঙে নিজেকে রাঙাতে ইচ্ছে হয় না? অভিনেত্রীর সাফ জবাব, ‘আমার কাছে দোল মানেই শুধু কৃষ্ণ আর কৃষ্ণ।’