আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর। এ নিয়ে বিএফডিসিতে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
শিল্পীরা বিস্মিত। প্রশ্ন উঠেছে, কবে শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েছেন বিতর্কিত এই হেলেনা জাহাঙ্গীর?
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর অভিনয়ের সঙ্গে কবে থেকে জড়িত সেই প্রশ্নও সর্বমহলে।
এমন সব সমালোচনার মধ্যেই সম্প্রতি হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি আছে। এ অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এজন্য কলি-নিপুণ পরিষদে যে, অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি। ’
হেলেনার এই বক্তব্য সমালোচনার পালে আরও হাওয়া দিয়েছে। কারণ ‘শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়া হবে’ তার এমন মন্তব্য চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন খল অভিনেতা ও প্রযোজক ডিপজল।
ডিপজল বলেছেন,এটা কেমন কথা! কোথায় সিনেমা নির্মাণ করে শিল্পীদের কাজে লাগাবে, তা না, অন্য পেশায় শিল্পীদের কাজে লাগাতে চায়। তাহলে, শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের কাজ কি? কলি-নিপুণ পরিষদ এমন অফার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দেয় কী করে! তারা যদি তাকে সিনেমা বানানোর অফার দিয়ে শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থার কথা বলত, তাহলে একটা কথা হতো। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতাম। হেলেনা জাহাঙ্গীরের কথা শুনে প্রশ্ন জেগেছে, কলি-নিপুণ পরিষদ কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়? আমি গার্মেন্টস শিল্পের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, একজন শিল্পী হিসেবে এমন কথায় আমি লজ্জিত। যারা শিল্পী তারা যদি গার্মেন্টসে চাকরি করতে চাইত, তাহলে সিনেমায় আসত না। গার্মেন্টস বা অন্য পেশায় কাজ করত।
তিনি আরও বলেন, প্রথমত তাকে (হেলেনা জাহাঙ্গীর) আমি চিনি না। তিনি সিনেমা করেছেন বলে আমার জানা নেই, চলচ্চিত্রে কোনোদিন দেখিনি। তিনি যদি শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে থাকেন, তা কোনোভাবেই একজন শিল্পীর কথা হতে পারে না। কারণ, যিনি শিল্পী হয়েছেন, তিনি অভিনয়ের জন্যই শিল্পী হয়েছেন। এটা তার পেশা-নেশা। একজন শিল্পী না খেয়ে থাকলেও সে শিল্পী। এখানেই তার রিজিক।
এ অভিনেতা আরও বলেন, আল্লাহ যাকে যেখানে রিজিক দিয়েছেন, সে সেখান থেকেই রিজিক পাবে। যিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন, রিকশা চালান, ব্যবসা করেন, চাকরি করেন, তার সেখানেই রিজিক। শিল্পীরও অভিনয়ের মাধ্যমে রিজিক আসে। তবে শিল্পীদের পেশাটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। শিল্পী কাজ না করলেও সে শিল্পী। এর বাইরে তার যাওয়ার সুযোগ খুব কম।