আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় সরকারের সর্বজনীন পেনশন
গ্রহনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নানামুখী প্রচারণার কর্মসূচিতে
বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ হয়েছে এবং গতকাল
(বৃহস্পতিবার) উপজেলার ব্যাপক মানুষ এই পেনশন স্কিম কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
এই পেনশন স্কিম বিষয়ে প্রচারণার অংশ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার
বেসরকারি শিক্ষক, উপজেলা ঔষধ মালিক সমিতি,. সাংবাদিকদে সাথে, উপজেলা
প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণে
মানুষের মাঝে আগ্রগ সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি এমপিভুক্ত শিক্ষক, চাকুরিজীবী,
ইমাম, সাংবাদিক, শ্রমিক, কৃষকসহ নানা পেশার মানুষ এই পেনশন স্কিমে অংশ
নিয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ব্যংকে, ইউনিয়ন পরিষদে,উপজেলা
পারিষদে, কম্পিউটারের দোকানে গতকাল বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ এই
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একউন্ট খুলেছে। খুব সহজে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া
কেউ,ব্যাংক, বিকাশের দোকান, উপজেলা আইসিটি অফিস, ব্যাক্তিগত মোবাইলের
মাধ্যমে এই পেনশন স্কিমের হিসাব খোলা যায় এবং পেমেন্ট দেওয়া যায়।
গতকাল আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসনে বগুড়া-৩ আসনের সাংসদ খান মুহম্মদ সাইফুল্লাহ
আল মেহেদি বাধন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান সর্বজনিন
পেনশন স্কিমে নিজেদেও নাম অর্ন্তভুক্ত করেন। এই সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রুমানা আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের করজবাড়ি গ্রামের গৃহবধু দিলসাদ আরা বলেন, আমরা সারা
জীবন জেনে আসছি, সরকারি লোজনই শুধু পেনশন পায়। এখন শেখ হাসিনার সরকার
আমাদের পেনশনের সুযোগ করে দিয়েছে। আমি সমতা স্কিম গ্রহন তরেছি। প্রতি
মাসে ৫০০ টাকা রাখবো। ভবিষ্যতে এটি কাজে লাগবে।
আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক নাসিমুল হুদা খোন্দকার
জানান, আমাদের কলেজে প্রায় সাবাই সর্বজনিন স্কিম খুলেছে। আমাদের পেশায়
পেনশন সিস্টেম নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধণ্যবাদ। আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটি থাকা সত্বেও
তাঁরা শিক্ষকদের সাথে মুঠোফনে কথা বলে সর্বজনীন পেনশন নিশ্চিত করেছেন।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রুমানা আফরোজ জানান, সর্বজনিন
পেনশন বিষয়ে আমি লাগতার বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের মাঝে প্রচার করেছি। যারা
এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে তাদের ধণ্যবাদ। ৪ টি স্কিমে অংশগ্রহনকারীদের অনলাইনে
রেজিস্ট্রেশন সেবা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।