পিয়া জান্নাতুল। দেশের শোবিজ অঙ্গনে নামটা বেশ পরিচিত। তিনি একাধারে মডেল ও অভিনেত্রী, সেই সাথে তিনি একজন আইনজীবীও বটে। আন্তর্জাতিক শোবিজ অঙ্গনেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই লাস্যময়ী ।
সম্প্রতি পিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন এক কারণে। তার হাসিতে মুগ্ধ নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়া দাপিয়ে বেড়ানো ব্যারিস্টার সুমনকে পাশ কাটিয়ে ফোকাসে উঠে এসেছে পিয়ার সেই হাসির ঝলক। অথচ পিয়া দাঁড়িয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমনের পিছনে। ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি সংবাদের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখছেন ব্যারিস্টার সুমন। আর সেসময় সুমনের কথা শুনে পিয়া খানিকটা মুচকি হেসে ওঠেন। এরপর যা হবার তাই হলো। ঝড় উঠলো নেট দুনিয়ায়। রাতারাতি সেই হাসির সুবাধে ভাইরাল গার্ল বা ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসেন পিয়া। সেই মুহূর্তটিকে পুঁজি করে তৈরি হচ্ছে নিত্য নতুন রিলস, মিমস বা ভিডিও।বিষয়টিকে বেশ উপভোগ করছেন পিয়া জান্নাতুল। জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এই লাস্যময়ী বলেন, ‘আমি এটাকে এপ্রেশিয়েট করছি। তবে আমি হাওয়ায় উড়ছি না। কারণ আমি জানি, যারা দুই সেকেন্ডে ওঠাতে পারে তারা জাস্ট এক সেকেন্ড নামিয়েও ফেলতে পারে।’
কেউ কেউ আবার আক্ষেপ বা মজা করেও বলছেন, ব্যারিস্টার সুমনের ফোকাস কেড়ে নিয়েছেন পিয়া। আসলেই কি তাই? এবার পিয়া বললেন, ব্যারিস্টার সুমন তার জায়গায় খুবই বিখ্যাত। তাই তার দিকে থেকে আলো কেড়ে নেয়ার কিছু নেই। তবে আমাদের ল’ চেম্বারেও সবাই বিষয়টি খুব উপভোগ করছেন। এ নিয়ে ব্যারিস্টার সুমনও বেশ হাসাহাসি করেছেন।
নতুন করে ফের অনেকের ক্রাশ আর ইউটিউবারদের কন্টেন্টের প্রিয় বিষয়বস্তু হয়ে ওঠা নিয়ে পিয়া দিলেন সহজ সরল আর উদার উত্তর। বললেন, ‘আমি জিনিসটা খেয়াল করেছি, যারা কন্টেন্ট বা রিলস তৈরি করছে বেশিরভাগ তরুণ বা কেউ কেউ মাত্র যুবক বয়সে পা দিয়েছে। তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে। আসলে এগুলো ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে, যে ট্রেন্ড হয় সেটাই মূলত তারা ফলো করে। এতে দোষের কিছু নেই।’
উল্লেখ্য, পিয়া জান্নাতুল ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়াও মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া। ২০১২ সালে চোরাবালির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক। ২০১৩ সালে বাহরাইনে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্সেস’ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন তিনি। এছাড়া দিল্লি, প্যারিস, নিউইয়র্কের মতো বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত ফ্যাশন উইকেও অংশ নিয়েছেন পিয়া।