1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট » Daily Bogra Times
Logo শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বিদেশি হস্তক্ষেপে বিগত সরকার ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিলো: আসিফ নজরুল সৌদি আরবে ‘ফ্যাশন শো’ মাতাচ্ছে হলিউড তারকারা! ভারতীয় বংশোদ্ভূত তুলসী হতে যাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান? অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা পাবেন ফ্রি চিকিৎসা ও ইউনিক আইডি কার্ড বগুড়ায় মেয়েকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার এক কর্মস্থলে ৩ বছর পরই বদলী, পরিপত্র জারি আবারো ‘লাল গোলাপ’ নিয়ে ফিরছেন শফিক রেহমান পত্নীতলায় আরাফাত রফমান কোকো স্মৃতি আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের  উদ্ভোধন হিলিতে পলিথিন কারখানায় অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা জয়পুরহাটে রিক্সা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার লালমনিরহাটে শহীদ মিরাজের মরদেহ ৩ মাস পর উত্তোলন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আবদুল্লাহ এর বাড়িতে নৌ-পরিবহন উপদেস্টা ভূরুঙ্গামারীতে দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত দিবস পালিত রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ সারিয়াকান্দিতে চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে ফুটবল টুর্ণামেন্ট

কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্কঃ-
  • বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট
print news

কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অপরাধের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচাতে হবে।

কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের লিখিত আদেশে এসব মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ লিখিত আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়েছে, মাটির উপরের স্তরেই বেশিরভাগ জৈব পদার্থ, পুষ্টি এবং জীবন্ত অণুজীব ঘনীভূত হয়। এটি মাটির সবচেয়ে উর্বর স্তর, যেখানে গাছপালা বেড়ে ওঠে এবং যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ জৈবিক মাটির কার্যকলাপ ঘটে। উপরের মাটি কাটা হলে মাটির জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে সাতকানিয়ার কিছু দুর্বৃত্ত অবৈধভাবে বা জোরপূর্বক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত করে মাটি কাটছে এবং খনন করছে যার জন্য কৃষকরা সেখানে চাষাবাদ করতে পারছেন না। কৃষিজমি খননের এই কার্যকলাপ সেই এলাকার পরিবেশের পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্যেরও ক্ষতি করেছে। এ অবস্থায় এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, বিবাদীদের উচিত এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচানো। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু জেনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না। এখানে উল্লেখ্য যে জমিগুলো গর্ত করা হয়েছে সেই জমিগুলো ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইনের খুব কাছে, যা উপরের মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের আচরণ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অধীনে অপরাধের মধ্যে পড়ে। এসব কারণে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি।

তদন্ত কমিটিকে যে বিষয়গুলো তদন্ত করতে হবে সেগুলো হলো-

১. কীভাবে ওই অঞ্চলের কৃষিজমি সুরক্ষিত হবে তার সুপারিশ করতে হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করতে হবে।

২. চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় কৃষি জমির উপরের মাটি কাটার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে।

৩. প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা, স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে হবে।

৪. ওই এলাকার কৃষিজমির উপরের মাটি কাটার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা তুলে ধরতে হবে।

৫. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করা যায়, তার সুপারিশ করতে হবে।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে মনোনীত করতে হবে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার মনোনয়নের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে। এছাড়া আদেশে বিবাদীদের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরের মাটি ভরাট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে বাইরে থেকে পলিমাটি এনে তা ভরাট করতে বলা হয়েছে।সেইসঙ্গে সাতকানিয়া থানার মধ্যে কতটি ইটভাটা রয়েছে এবং তাদের অবস্থা কী, তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে কি না, তা আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় এ আদেশে।

আদেশের সময় অনলাইনে আদালতে হাজির ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি। এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে তাদেরকে অনলাইনে তলব করেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাদের।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews