চাহিদা মেটাতে প্রতি বছরই এ সময়টাতে কাঁচা মরিচের আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও এ বছর তা এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও সেগুনবাগিচায় কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি মরিচের খুচরা দাম ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা। তাদের দাবি, কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
সেগুনবাগিচায় সবজি বিক্রেতা শফিক বলেন, ‘১০–১২ দিন আগেও আমরা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করতাম ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ২০০ টাকায়। এর কারণ, মরিচের পাইকারি দাম বেড়েছে।’
পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, প্রতি বছর এ সময় কাঁচা মরিচের সরবরাহ সংকট তৈরি হয়। তারা বলছেন, অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ ও তার পরের বৃষ্টিতে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে সরবরাহ কমে গেছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এপ্রিল–জুন পর্যন্ত সময়ে দেশে তীব্র তাপমাত্রা ও প্রচণ্ড গরমে মরিচ গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ফুল ঝরে যাচ্ছে।
এছাড়া গাছগুলো নানা ধরনের রোগবালাইয়ের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এসবের ফলে মরিচের ফলন দুই-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চাহিদা মেটাতে প্রতি বছরই এ সময়টাতে কাঁচা মরিচের আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও এ বছর তা এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাষ্টার বলেন, ‘দ্রুত আমদানির অনুমতি না দিলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হয়ে পড়বে।’
গত বছর কাঁচা মরিচের সরবরাহ সংকটের সময় দাম বেড়ে কোথাও কোথাও ৮০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। পরে ২৫ জুন সরকার মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুটি মৌসুমে কাঁচা মরিচের উৎপাদন হয় ৬ দশমিক ২৫ লাখ মেট্রিক টন। আর মরিচের চাহিদা পাঁচ লাখ মেট্রিক টন।
তবে উৎপাদন-পরবর্তী ক্ষতি এবং যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় সব সময় কাঁচা মরিচের সরবরাহ একই থাকে না।