আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় আমাদের শরীর ঘেমে ঠান্ডা হচ্ছে না। মাটির সুপ্ত তাপ ছাড়তে সাহায্য করেছে বৃষ্টি, যার কারণে পরিবেশ উষ্ণ হচ্ছে। এ কারণে, কোনো তাপদাহ বা উচ্চ তাপমাত্রা না থাকলেও অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। এটি মূলত ভ্যাপসা গরমের কারণে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আজ দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানীতে ২৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃষ্টি না হলে আগামী দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে মানুষ বেশি ঘামবে এবং অস্বস্তি বোধ করবে।
এপ্রিলে এ যাবৎকালের দীর্ঘতম তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ এবং মে মাসের মাঝামাঝি মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল ছিল ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম এবং এ মাসে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ১ মিলিমিটার।