বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও খেলাধুলা কমে গেছে। অধিক পড়াশুনার চাপ, শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ, কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ইত্যাদি
কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সম্প্রতি
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি
শিক্ষা প্রতিষ্টানে সাংস্কৃতিক ক্রীড়াকলাপ বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া
হয়েছে।
জানা গেছে , আদমদীঘির সরকারি প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বার্ষিক
খেলাধুলা সহ সাংস্কৃতিক ক্রিড়াকলাপ চালু থাকলেও অনেক উচ্চ বিদ্যালয় ও
কলেজ পর্যায়ে নিয়মিত বার্ষিক খেলাধুলা ও অভ্যন্তরীন সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয় না। নেই কোন আন্তঃ কলেজ প্রতিযোগিতা।
আদমদীঘি উপজেলায় প্রায় প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ না থাকায় নিয়মিত
খেলাধুলার চর্চা কমে গেছে। দেওয়াল পত্রিকা, বার্ষিক পত্রিকা বের হয় না
কোন প্রতিষ্ঠান থেকে। বিতর্ক, সাধারন জ্ঞান, আবৃত্তি, কৌতুক,
সংগীত প্রতিযোগিতা বা চর্চা নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় অনেক
শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান বিমুখ হয়ে পড়ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
উপজেলার নশরৎপুর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক রেজাউল ইসলাম, আদমদীঘি রহিম
উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারী নাসিমুল খোন্দকার, সান্তাহার শহীদ
আহসানুল হক ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও উপজেলা কলেজ শিক্ষক
সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম , বি পি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক
মোহসিন আলী শিক্ষাঙ্গনে সাংস্কৃতিক ক্রিড়াকলাপ ও খেলাধুলা কমে
যাওয়াকে স্বীকার করে অবিলম্বে আন্তকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতা শুরুর আহবান জানান।
আদমদীঘির কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত এ্যাসেম্বলী (সমাবেশ)
হয়না এবং শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না বলে জানা গেছে। জাতীয়
দিবস গুলিতেও অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ভাল না।
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা ) স্থাপনের ক্ষেত্রে নুন্যতম
চাহিদা পুরনে আবশ্যক শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, সহপাঠ ক্রমিক কার্যক্রমের
অংশ হিসাবে বার্ষিক ক্রিড়া, খেলাধুলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক
অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপন, স্কাউটিং,/গার্ল গাইড, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি
কার্যক্রম গ্রহন করিতে হইবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন
সহ এ্যাসেম্বলী অনুষ্টান ও শ্রেনী কার্যক্রমে শরীরচর্চা বিষয় অর্ন্তভুক্তকরন
প্রশ্নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৭/৩/২০০৮ তারিখে একটি প্রঞ্জাপন জারী করেছে।
উক্ত প্রঞ্জাপনে শ্রেনী কার্যক্রম শুরুর পূর্বে এ্যাসেম্বলী অনুষ্টান ও জাতীয়
সঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য উপজেলার প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ক্রিড়া, রোভার্স
বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয়।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোসলেম উদ্দীন
জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে প্রধানদের এবং পরিচালনা পর্ষদের। আমরা নাগরিক
কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সচেতনামূলক প্রচার চালাবো ভবিষ্যতে।