1. editor@dailybogratimes.com : dailybogratimes. :
কোন দেশে কীভাবে পালিত হয় ঈদুল আজহা » Daily Bogra Times বগুড়া টাইমস
Logo মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
আশরাফুল পেলেন কোচ হিসেবে আইসিসির স্বীকৃতি ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর : এক ভারতীয় গ্রেপ্তার সাপাহারে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সে:) উৎযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা শার্শায় পরিবারের সদস্যদের হাতে হাফেজ ছেলে নিহত জয়পুরহাটে র‍্যাব ৫ এর অভিযানে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেফতার ১ ফুলবাড়ীতে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে এক বিশাল ঐতিহাসিক গণ সমাবেশ টানা বৃষ্টিতে শার্শার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত, তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত ভারতে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের থেকে ২০০ একর জমি ফিরে পাবে বাংলাদেশ শেখ হাসিনা পাচার করা অর্থ ব্যবহার করে দেশে অন্তর্ঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে পাঁচবিবিতে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড:জোবায়দুর রহমান বাবুকে সংবর্ধনা রাজশাহীর বাঘা চন্ডিপুরে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও সামাজিক সংগঠনের বর্ষপূতি  সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১৪ বছরের গৃহকর্মী অন্তসত্বা থানায় মামলা   অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন থাকলে জনগণ মানবে না : মির্জা ফখরুল আ’মী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কমিটি গঠন করেছে সরকার

কোন দেশে কীভাবে পালিত হয় ঈদুল আজহা

নিউজ ডেস্কঃ-
  • সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪
  • ৩২ বার পঠিত
কোন দেশে কীভাবে পালিত হয় ঈদুল আজহা
print news

মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদ। এদিন পশু কোরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ধর্মীয় রীতি অনুসারে কোরবানির মাংস তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়- একটি ব্যক্তির নিজের বাড়ির জন্য, একটি তাদের আত্মীয়দের জন্য ও একটি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য

পুরো বিশ্বের মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা এই দিনটি পালন করেন ত্যাগের মহিমায়। তবে একেক দেশে ঈদুল আজহা পালন করার কিছুটা ভিন্নতা আছে। এই ভিন্নতা মূলত দেশে দেশে সংস্কৃতির পার্থক্যের কারণে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন দেশে কীভাবে পালিত হয় ঈদুল আজহা-

পাকিস্তান
পাকিস্তানে ঈদুল আজহা চারদিন ধরে উদযাপিত হয়। ঈদের দিন সকালে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের নামাজের জন্য রওনা দেন। তারপর বাড়ি ফিরে গরু, ছাগল, ভেড়া বা উট কোরবানি করেন। পাকিস্তানে সবাই পালিত পশুই কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করেন।এজন্য অনেক আগ থেকেই পশু কেনাবেচা শুরু হয়। অন্তত একমাস আগে তারা পশু কিনে নিজের যত্ন করেন। সরকারি ছুটি থাকায় যে যার মতো করে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নেন। অনেকেই ঘুরতে বের হন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত
পশু কোরবানির আগে সকালে ঈদের নামাজ আদায় করা হয় সেখানে। আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে প্রতিবছর ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ৩-৪ দিন ধরে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। যদিও সেখানকার মানুষেরা নিজের বাড়িতে পশু জবাই করতে পারেন, তবে যথাযথভাবে কোরবানি ও এর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের লক্ষ্যে কসাইখানার স্থান নির্ধারণ করা থাকে। এ কারণে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কারের বিষয়ে আর ভাবতে হয় না তাদের।

ইরান
সংযুক্ত আর আমিরাতের মতো ইরানেও পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান রাখা হয়। এর বাইরে পশু জবাই করা বেআইনি হতে পারে। ইরানে খুব ভোরেই কোরবানি দেওয়া হয়। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের আগে কসাইখানায় রওনা হন সবাই মাংস সংগ্রহ করতে। তারপরে তারা নতুন পোশাক পরে নামাজ আদায় করেন। আর সারাদিন প্রিয়জনদের সঙ্গে খাসি বা গরুর মাংসের নানা পদ খেয়ে উদযাপন করেন ঈদুল আজহা।

তাজিকিস্তান
তাজিকিস্তাসের মানুষেরা ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু করেন ঈদুল আজহা। তারপর শিশুরা প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখান থেকে তারা পুরষ্কার ও মিষ্টি পেয়ে খুশি হয়। এরপর পুরুষরা পশু কোরবানির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাজিকিস্তানেও অনুমোদিত স্থান ব্যতীত কোরবানি দেওয়ার নিয়ম নেই। মাংস নিয়ে বাড়িতে আসতেই তা রান্না শুরু করেন নারীরা। তাজিকিস্তানে বাড়ির শিশুরাই ঈদের দিন খাবার পরিবেশন করে। অতিথিকে প্রথমে ফল, পেস্ট্রি ও বিস্কুট নাস্তা দেওয়া হয়।

তারপরে মাংসের বাহারি পদ দিয়ে খাবার সম্পন্ন করার পর কেক ও মিষ্টি মুখ করে সবাই। তাজিকিস্তানে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এই দেশের প্রতিবেশীরা অবাধে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যেতে পারে, কারণ তাদের সবার ঘরের দরজায় প্রতিবেশীদের জন্য সব সময় খোলা থাকে।

তুরস্ক
ঈদুল আজহাকে তুর্কি ভাষায় কুরবান বায়রামি বলা হয়। এদেশের মানুষেরাও ঈদের দিন শুরু করে নামাজের মাধ্যমে। তারপর বাড়ি ফিরে আল্লাহর নামে পশু (সাধারণত ভেড়া) কোরবানি দেয়। তুরস্কেও অনুমোদিত কসাইখানা/বসাখানা ছাড়া অন্য কোথাও পশু কোরবানি করা বেআইনি। এগুলোর বেশিরভাগই বড় শহরের উপকণ্ঠে নির্মিত। তরস্কের অনেকেই পশু বলি দেওয়া এড়িয়ে যান, এর পরিবর্তে তারা সমমূল্যের অর্থ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করতে পারেন।

আফ্রিকান নেশনস
সমগ্র আফ্রিকার বেশিরগভাই মুসলিম দেশ যেমন-তিউনিসিয়া, মরক্কো ও মিশরে, ঈদুল আজহা উদযাপন শুরু হয় ঈদের নামাজ আদায় করার মধ্য দিয়ে। ভেড়া, ছাগল বা মেষের মতো পশুই তারা বেশি কোরবানি দেয়। এরপর পরিবার নিয়ে মজাদার সব পদের স্বাদ উপভোগ করেন।

ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল আজহা উদযাপনের রীতিনীতি অনেকটাই পাকিস্তানের মতোই। ঈদের নামাজের পরে তারা রাস্তায় কোরবানি করে। এই সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী, পরিবার, বন্ধুসহ সবাই জড়ো হয় প্রক্রিয়াটি দেখতে।

ভারত
ভারতীয় মুসলমানরা সাধারণত ঈদুল আজহার জন্য ছাগল বা ভেড়া কোরবানি করে থাকেন। ঈদের নামাজের জন্য সেখানে নির্ধারিত এলাকা আছে। যেহেতু ওই দেশে গরুকে পবিত্র বলে মনে করা হয় তাই ভারতীয় মুসলমানরা সাধারণত তাদের বাড়িতে বা স্থানীয় ইসলামিক কেন্দ্রে একটি ছাগল বা একটি ভেড়া কোরবানি দেন ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য। মাংস প্রস্তুত হওয়ার পরে বাড়িতে এনে রান্নার কাজে লেগে পড়েন সবাই। সাধারণ জনগণের অসুবিধা এড়াতে সেখানকার কর্তৃপক্ষ রাস্তায় পশু কোরবানি করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে।

এনাম হক / ডেইলি বগুড়া টাইমস

আরো খবর
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews