1. editor@dailybogratimes.com : dailybogratimes. :
কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ডাইক ভেঙে প্লাবিত বিয়ানীবাজার » Daily Bogra Times বগুড়া টাইমস
Logo বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব আমদানি হবে ৬ লাখ টন চাল ও গম, খাদ্যের মজুদ বাড়াচ্ছে সরকার পিআইবির নতুন মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ কাজিপুরে আন্তঃশ্রেণি ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির নতুন পরিচালক ড. মুর্শিদা ফেরদৌস  ধামইরহাটে তালা ভেঙ্গে কাপড়ের দোকানে চুরির অভিযোগ মহাদেবপুরে নৃ-গোষ্ঠীর কারাম উৎসব পালিত রাজশাহীর উপজেলা ও পৌরসভায় সেবা পেতে জনগণের ভোগান্তি  জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্যোগে আন্তঃ বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুভ উদ্বোধন বিস্ফোরণে কাপলো লেবানন : নিহত ৯, আহত ২৮০০ পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করলেন মমতা সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ আমরা বাংলাদেশকে সম্মান করি : গৌতম গম্ভীর অনলাইনেও দেখা যাবে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সব প্রকল্প বাতিল : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ডাইক ভেঙে প্লাবিত বিয়ানীবাজার

স্পোর্টস ডেস্কঃ-
  • রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
  • ২১ বার পঠিত
কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ডাইক ভেঙে প্লাবিত বিয়ানীবাজার
print news

সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে ডাইক (নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ) ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিয়ানীবাজার উপজেলা। পানির তোড়ে উপজেলার কাকরদিয়া গ্রামে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ডাইক ভেঙে যায়। এতে বন্যার পানি ঢুকে তিনটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

এছাড়া প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগের প্রধান সড়ক। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে উপজেলার দুবাগ, কাকরদিয়া, মুড়িয়া ইউনিয়নের ৫০ থেকে ৬০টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।  এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার চারটি ডাইক ভেঙে নয়টি ইউনিয়নের ৮৭ গ্রাম প্লাবিত হয়ে লাখের ওপর মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।  

সিলেটের প্রায় সব উপজেলায় নদ-নদীর পানি কমতে থাকলেও ব্যতিক্রম কুশিয়ারা। সিলেটজুড়ে যখন মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামছে তখন কুশিয়ারার চার পয়েন্টে ও সুরমার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতোমধ্যে কুশিয়ারার পানি বেড়ে ১৩ উপজেলায় ১ হাজার ১৮০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এসব উপজেলায় বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়েছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে পড়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সিলেটের জকিগঞ্জে।  

তবে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় কুশিয়ারার তীরবর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা। গত বন্যায় পানিবন্দি থাকাবস্থায়ই ফের বন্যা কবলিত হয় ফেঞ্চুগঞ্জ। উপজেলা সদর, হাসপাতাল ও রাস্তাঘাটে এখনও পানি থৈ থৈ করছে। মানুষজন এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে দিনযাপন করছেন।  

গতকালl শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুশিয়ারা পানি ফেঞ্চুগঞ্জে দিনভর বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগের দিন শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার এবং সকাল পর্যন্ত ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে কুশিয়ারার পানি প্রবাহিত হয়।  

এছাড়া বৃহস্পতিবার কুশিয়ারার পানি জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠায় গত বন্যায় ভাঙা ডাইকগুলো ডুবিয়ে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। আরও তিনটি ডাইক ভেঙেছে এবারের বন্যায়। ফলে জকিগঞ্জ পৌর এলাকার নরসিংহপুর, উপজেলার ছারিয়া, রারাই এলাকার তিনটি ডাইক ভেঙে এ যাবত উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ৮৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে লাখের ওপর মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। 

স্থানীয়রা জানান, গত বন্যার পানিতে বাজার, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িতে পানি উঠেছিল। এখনও সেভাবেই আছে। বরং এখন বন্যা আরও বিস্তৃত হয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপরে এবং সিলেট পয়েন্টে কমে গিয়ে ছয় সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে সকাল থেকে সাত সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি সকালে ১১৯ থেকে নেমে ১০৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি শনিবার বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল এবং শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি শুক্রবার থেকে আরও চার সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  আর গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২৫ দশমিক ছয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন নয় হাজার ৩৬৭ জন। এছাড়া সিলেটের ১৩টি উপজেলার এ পর্যন্ত পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ২৬ হাজার ১৩৮ জন এবং ১০১টি ইউনিয়নের ১১৮০টি গ্রাম বন্যাকবলিত দেখানো হয়েছে।  

এনাম হক / ডেইলি বগুড়া টাইমস

আরো খবর
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews