1. editor@dailybogratimes.com : dailybogratimes. :
আদমদীঘির নারী শ্রমিকরা কর্মঘন্টার সমান মজুরী পান পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে অর্ধেক » Daily Bogra Times বগুড়া টাইমস
Logo বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব আমদানি হবে ৬ লাখ টন চাল ও গম, খাদ্যের মজুদ বাড়াচ্ছে সরকার পিআইবির নতুন মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ কাজিপুরে আন্তঃশ্রেণি ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির নতুন পরিচালক ড. মুর্শিদা ফেরদৌস  ধামইরহাটে তালা ভেঙ্গে কাপড়ের দোকানে চুরির অভিযোগ মহাদেবপুরে নৃ-গোষ্ঠীর কারাম উৎসব পালিত রাজশাহীর উপজেলা ও পৌরসভায় সেবা পেতে জনগণের ভোগান্তি  জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্যোগে আন্তঃ বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুভ উদ্বোধন বিস্ফোরণে কাপলো লেবানন : নিহত ৯, আহত ২৮০০ পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করলেন মমতা সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ আমরা বাংলাদেশকে সম্মান করি : গৌতম গম্ভীর অনলাইনেও দেখা যাবে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সব প্রকল্প বাতিল : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আদমদীঘির নারী শ্রমিকরা কর্মঘন্টার সমান মজুরী পান পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে অর্ধেক

রবিউল ইসলাম রবিন, আদমদীঘি, বগুড়াঃ-
  • বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ২০ বার পঠিত
আদমদীঘির নারী শ্রমিকরা কর্মঘন্টার সমান মজুরী পান পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে অর্ধেক
print news

মোঃ রবিউল ইসলাম (রবীন) আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ ৮ আগষ্ট, ভরদুপুর। তপ্ত রোদে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি ইঁটভাটায় মাটি কাটার কাজ করছিলেন রোকেয়া বেগম (৩৭)। ট্রাকে করে ভাটায় আনা মাটি ডালিতে ভরে ভাটা পর্যন্ত নিয়ে যান। তপ্ত রোদে সকাল সাতটা থেকে বিকেল পর্যন্ত এ কাজ করেন রোকেয়া। ১০ ঘন্টার এই কাজ শেষে মজুরি মেলে ১৩০ টাকা।

রোকেয়া বেগমের সঙ্গে ওই ভাটায় মাটি কাটার কাজ করেন সামসুল আলম (৪২)। একই কাজ করে তাঁর মজুরি ৪০০ টাকা। দীর্ঘসময় কাজ করেও কম মজুরি ও বৈষম্যের এমন চিত্র বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার বেশিরভাগ ইটভাটায়। পুরুষের সঙ্গে সমান কাজ করেও নারীদের মজুরি প্রায় তিন গুন কম। এ নিয়ে তাঁরা কখনো আপত্তি করেন না বলে দাবি ভাটার মালিকদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এই উপজেলায় নারী শ্রমিকদের মজুরির এ বৈষম্যের চিত্র শুধু ইটভাটাতে নয়, কৃষি, খেতখামার, বাড়ি নির্মাণে, কলখারখানাতেও। বছরের পর বছর নারীরা এই বৈষম্যের মধ্যে কাজ করছে।

আদমদীঘি উপজেলার শাঁওইল বাজার ঘিরে গড়ে উঠেছে কয়েকশত তাঁত কারখানা। ঝুট কাপড় থেকে রং আলাদাসহ কম্বল তৈরির কাজে যুক্ত কয়েক শ নারী ও পুরুষ শ্রমিক। শাঁওইলের সুতার আড়ত কিংবা তাঁত কারখানায় একজন পুরুষ শ্রমিক কাজ করে মজুরি পান ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। আর নারী শ্রমিকের মজুরি গড়ে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। শাঁওইল বাজারের একটি সুতার আড়তে কাজ করেন নারী শ্রমিক খোরসেদা বেগম (৪৬)। তাঁর বাড়ি সান্তাহারের কলসা রথবাড়ি মহল্লায়। প্রতিদিন ভোরে এখানে কাজ করতে আসেন তিনি। সারাদিন কাজ করে মজুরি পান তিনি ১৯০ টাকা। যাতায়াত বাবদ তাঁর ২৫ টাকা খরচ হয়।

খোরসেদা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী সুজন আলী পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। বাড়িতে দুটি মেয়ে আছে। স্বামীর একার উপার্জনে সংসার ঠিকমত চলে না। ১০ বছর আগে ৪০ টাকা মজুরিতে এখানে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ১৯০ টাকা পেলে খাওয়া, যাতায়াত বাদ দিয়ে দিনে শ খানেক টাকা হাতে থাকে।

শষ্য্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত আদমদীঘিতে রয়েছে ৭০/৮০টি চালকল। এসব চালকলে কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। কাজ ভেদে চাতাল বা চালকলেও পুরুষ শ্রমিকদের মজুরির তুলনায় নারী শ্রমিকরা কম মজুরি পায়। বাড়ি নির্মাণ শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকরা কম মজুরি পায়।

এ বিষয়ে এ্যাডঃ ও নারী নেত্রী মিনা বেগম বলেন, নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের যত দিন দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার পরিবর্তন না হবে, ততদিন এভাবে শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হতেই থাকবে। একই কর্মঘন্টা কাজ করে পুরুষেরা যেখানে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা মজুরী পান, সেখানে একই পরিশ্রম দিয়ে নারীরা কম পাবে কেন? বৈষম্য ঘোচাতে নারীদের প্রতিবাদী হতে হবে, সমান মজুরী আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।

এনাম হক / ডেইলি বগুড়া টাইমস

আরো খবর
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews