সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ রোববার খুলেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনার আলোকে গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
আদেশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সব সরকারি- স্বায়ত্তশাসিত-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রাশাসনিক শূন্যতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এরই মধ্যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ করেছেন।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রোভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেছেন। যারা এখনো আছেন, তাদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস শুরু করতে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট বৈঠকের প্রয়োজন হয়। যার সভাপতি থাকেন ভিসি।
এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র-শিক্ষকদের সাথেও কথা বলা প্রয়োজন। ফলে আজ থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা কষ্টকর হয়ে পড়বে।
কোটা সংস্কার ঘিরে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।