বগুড়ার কাহালুতে চাঁদাবাজি করতে যেয়ে আলোচিত আতাবাহিনীর এক সদস্য গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে কাহালু উপজেলার শিবা কলমা হিন্দুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রাকিব হোসেন। সে পরিশেষ পূর্বপাড়া এলাকার মৃত সামসুল হকের ছেলে। এছাড়াও সে একাধিক মামলার আলোচিত সন্ত্রাসী আতাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানার উপ-পরিদর্শক আলেফ উদ্দিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, শিবা কলমা হিন্দুপাড়া এলাকার ফনিন্দ্রনাথের মেয়ের সাথে বিপুলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিপুলের সাথে বিয়ে না দিয়ে ফনিন্দ্র তার মেয়ে অন্যত্র বিয়ে দেন৷ এর মধ্যে ওই মেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। খবর পেয়ে সন্ত্রাসী আতাসহ ৭/৮জনকে সাথে নিয়ে বিপুল ওই মেয়ের বাড়িতে যায়৷ সেখানে যেয়ে তারা ফনিন্দ্র এর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ফনিন্দ্র দুই হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। এটা শুনে আতা বাহিনীর লোকজন আশেপাশের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এসময় শাখা নামে এক ব্যক্তি যেয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে আতাবাহিনীর সবাই মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এসময় এলাকাবাসী সবাই একত্রিত হয়ে আতাবাহিনীর সবাইকে প্রতিহত করতে যায়। পরে সবাই পালিয়ে গেলেও রাকিবকে এলাকাবাসী ধরে গণপিটুনি দেয়৷ এতে রাকিবের মৃত্যু হয়৷
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।