ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, এদেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষের অধিকার সমান। এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এটিকে সমুন্নত রাখা হবে। একটি বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠলে জনগণ সুফল পাবে।
আজ রবিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গৌরাঙ্গবাড়ী মন্দিরে দরিদ্র সাঁওতাল পরিবারের সদস্যদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ভুটানের কাছে আবার হার, মাথা হেট কাবরেরার!ভুটানের কাছে আবার হার, মাথা হেট কাবরেরার!
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্গাপূজা আসন্ন। রাজশাহী বিভাগের সনাতন ধর্মের লোকেরা যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি উপাসনালয়ে বা পূজামণ্ডপে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা বাধাদান করে তবে আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করব। হামলাকারী যেই হোক, তাকে আমরা ছাড় দেব না। আইনের আওতায় এনে এদের প্রচলিত আইনে শাস্তির প্রদান করা হবে।
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় কমিউনিটির মানুষকে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে উপদেষ্টা বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণকে মন্দিরের নিরাপত্তায় পালাক্রমে পাহারার দায়িত্ব দিতে হবে। এতে দুষ্কৃতকারীরা পূজামণ্ডপে হামলা করার সাহস পাবে না। তিনি শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মন্দিরে বিধবা মহিলা ও অনাথ লালন-পালনের কার্যক্রম হাতে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
স্থানীয় জনসাধারণের উদ্দেশে ড. খালিদ বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ান। আসুন, আমরা একে অপরের হাত ধরে প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি বৈষম্যহীন ও সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলি।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নদওয়াতুল ইসলাম ক্বওমী মাদরাসার প্রধান পরিচালক মো. মোখতার আলী, গৌরাঙ্গ দেব মন্দিরের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার ও ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার অসীম কুমার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা রাজশাহী দারূস সালাম কামিল মাদরাসা পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।