মোস্তাফিজার রহমান জাহাঙ্গীর,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী মাস্টার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জোসেফ আলী ও সাবেক সভাপতি, মোঃ জাইদুল হক জাহিদ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩ মাস পূর্বে একজন আয়া ও একজন অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগ করে তাদের নিকট থেকে উনিশ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ অবস্থা থাকার পরেও বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার।এর প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রামানাদিসহ উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি প্রদান করা হয়।
অপরদিকে দফায় দফায় বৈঠক করে কোন লাভ না হওয়ায় এলাকায় মাইকিং করে এলাকাবাসী।১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা প্রতিনিধিরা প্রাধান শিক্ষকে নিয়ে বৈঠক করলেও কোন সুরাহা না পাওয়ায়, উত্তেজিত এলাকাবাসী প্রাধান শিক্ষকে দেড় ঘন্টা অফিস রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন। কিছু সময় অতিবাহিত হলে এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা প্রতিনিধিরা প্রাধান শিক্ষককের সাথে আবারও বৈঠক করেন ।
এলাকাবাসী খলিলুর রহমান মিঠু,আজিজুল হক ও খলিল জানান, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি এবং অনেক বার বৈঠক করেছি, দুটি নিয়োগে ১৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি অনেক চেষ্টা করেছি সমাধানের জন্য আমরা ব্যর্থ হয়েছি , আজকে একটি তদন্ত হওয়ার কথা সেটির হয়নি, এখন আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করব।
আজোয়াটারী মাস্টার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জোসেফ আলী জানান, দুটি নিয়োগে আমি কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি, একটি পক্ষ আমার কাছে প্রায় চাঁদা দাবি করে আসছে,চাঁদা না পেয়ে আজকে আমাকে অফিস কক্ষে অবরোধ করে রেখেছে।
আজোয়াটারী মাস্টার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জাইদুল হক জানান, আজকে মাধ্যমিক একাডেমিক এর কাছে তদন্ত ছিল আমরা গিয়েছিলাম তিনি কাগজপত্র দেখে বলেছিলেন যে এটা মিথ্যা এটা নিয়ে আর কিছু করা লাগবেনা,যারা অভিযোগ করেছে তারা অভিযোগ তুলিয়া নিবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমরা কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালামের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আজকে তদন্ত ছিল আমার এখানে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি আসার কথা, কিন্তু তারা আসেননি। গতকাল প্রধান শিক্ষক ফোন করে বলেছিলেন আমরা বিষয়টা সমাধান করব। আজকে স্কুলে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটি আমাকে কেউ জানায়নি আর আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন জানান,আমি নতুন এসেছি বিষয়টি জানি না,তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।