বাংলাদেশের ইন্টারনেট খাতে সামিট গ্রুপের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সব বন্দোবস্ত করেছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সরকার। দেশের চাহিদার অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যান্ডউইথের সরবরাহ থাকার পরও রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০২২ সালে সামিটসহ তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় সাবমেরিন ক্যাবলের লাইসেন্স।
গ্রাহক পর্যায়ে যেতে প্রতিটি ধাপেই সামিটকে লাইসেন্স দিয়ে এই খাতে একচেটিয়া আধিপত্য দেওয়া হয়েছে, যা এই খাতকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ খাতের সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, কোনোরকম নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট/ব্যান্ডউইথ দিচ্ছে কারা?
জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে দুইভাবে সংযুক্ত। একটি হলো সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে, অপরটি ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবলের (আইটিসি) মাধ্যমে।
সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করছে বিএসসিপিএলসি, যা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে সরকারেরই একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। বিএসসিপিএলসি তাদের কার্যক্রম শুরু করে সিমিউই-৪ ক্যাবলের মাধ্যমে, যা কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে বিএসসিপিএলসি যুক্ত হয় সিমিউই-৫ ক্যাবলে, যা কুয়াকাটা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এই দুই ক্যাবলের মাধ্যমে বিএসসিপিএলসি বর্তমানে প্রায় ৭০০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের সক্ষমতা রাখে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একমাত্র লাভজনক প্রতিষ্ঠানও বিএসসিপিএলসি। একে সরকারের অলঙ্কার হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।