মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি :-বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩১ নম্বর শেড থেকে ফিশ মিলের ভিতরে ঘোষণা বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ শুটকি মাছের চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্যচালানটি আজ বুধবার দুপুরে আটক করা হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের শামীম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্য চালানটি ভারত থেকে আমদানি করেন। পণ্য চালানটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের আর এসটি ইনোভেটিভ সলুশন এল এল পি।
পণ্য চালানটি কাস্টম থেকে ছাড়করণের জন্য প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামের এক সিএন্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেছেন । পণ্যচালানটি ভারতীয় তিনটি ট্রাকে বেনাপোল বন্দরে মঙ্গলবার রাতে প্রবেশ করে। যার ট্রাক নম্বর-ডাব্লু বি ২৩২৫-এফ-৭৭২৩, ডাব্লু বি ২৩-সি-১২৪১, ডাব্লু বি ২৩-এফ ২৩৮৮।
বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষন কর্মকর্তা রাজস্ব অফিসার জাহিদুর রহমান জানান, বুধবার (৩০অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস উপ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে ফিশ মিল ঘোষনা দিয়ে আমদানি করা পণ্যচালানটি পরীক্ষন করা হয়। পরীক্ষণ করে তিনটি ট্রাকে ৫০ টন ফিশ মিলের মধ্যে ঘোষণা বহির্ভূত প্রায় ৭ টন শুটকি মাছ পাওয়া যায়।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ফিশ মিলের ভিতরে শুটকি মাছ আমদানি করায় পণ্য চালানটি সাময়িক আটক করা হয়েছে। ফিশ মিলের কোন শুল্ককর নেই। তবে শুটকি মাছের শুল্ককর শতকরা ৫৮ ভাগ। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে শুটকি মাছের শুল্কায়ন করা হচ্ছে প্রতি কেজি দুই মার্কিন ডলারে। ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছের মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পণ চালানটিতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি তারেক বাবুল জানান, আমদানিকৃত পণ্য চালানটি ফিশ মিল। এখানে কোন শুটকি মাছ নেই। ল্যাবে পরীক্ষণ করলেই প্রমাণিত হবে এটা ফিশ মিল নাকি শুটকি মাছ ? এখানে আমার বা আমার আমদানিকারকের কোন অপরাধ নেই। আমদানীকৃত পণ্যচালানে শুল্ক ফাঁকির কোন প্রবণতা আমাদের নেই।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপ কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানিকৃত ফিশ মিলের ভিতরে ঘোষণা বহির্ভূত শুটকি মাছ পাওয়ায় পণ্যচালানটি সাময়িক আটক করা হয়েছে। পণ্য চালানে বিপুল পরিমাণে শুটকি মাছ পাওয়া গেছে। আটককৃত পণ্যচালানে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল। কাস্টমস আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।