ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি করবে বিএনপি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কিছুটা সময় লাগছে। তবে ইতিমধ্যেই নয়াপল্টন এলাকায় দলটির নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকার অলিগলিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। এখনো ঢাকার আশপাশের জেলাসহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন তারা।
এ সময় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। অনেকেই জাতীয় পতাকা, অনেকে আবার দলীয় পতাকা নিয়ে হাত নাড়ছেন।
এদিকে, আজকের র্যালিটি কাকরাইল মোড়-কাকরাইল মসজিদ-মৎস্যভবন-ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট-শাহবাগ-হোটেল শেরাটন-বাংলামোটর-কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে সমাপ্ত হবে।
র্যালি শুরুর আগে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এই র্যালি হবে দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সেরা র্যালি।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বরের এই দিনে দেশপ্রেমিক সৈনিক জনতা আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে। ৭ নভেম্বরের পরে রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি। সেই রাজনীতি ছিল আধিপত্যবাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন করেন।