দীর্ঘ কর্মবিরতি শেষে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকারের ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন জেলেরা। যদিও নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আশানুরূপ ইলিশের দেখা মিলছে না। তবে ইলিশ না পেলেও জেলেদের জালে ঝাকে ঝাকে ধরা পড়ছে বড় বড় আকারের পাঙ্গাশ মাছ। আর সেই পাঙ্গাশ বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি চাঁদপুরের জেলে পাড়ার জেলেরা।
গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসে বেশ কিছু ছোট বড় ট্রলার। তবে অধিকাংশ ট্রলারে রয়েছে বড় বড় পাঙ্গাশ। ইলিশ না পেলেও জালে পাঙ্গাশ উঠায় কোনোরকম ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন এখানকার জেলেরা। এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর দেশের অন্যতম মৎস্য আড়ত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা।
বর্তমানে ইলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি আড়তের সামনে বড় বড় পাঙাশ সাড়িবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। আর সেই পাঙ্গাশ বিক্রি করছেন মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা। জেলে সাচিব হোসেন বলেন, চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনায় ইলিশ খুবই কম। তবে ইলিশের গুল্টিজালসহ পাঙাশের আলাদা জাল রয়েছে, সেই জালে বড় বড় সাইজের পাঙ্গাশ উঠছে। আমরা ভোর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত চারটি বড় পাঙ্গাশ পেয়েছি। আর সেই পাঙ্গাশ বিক্রি করতে বড় স্টেশন মাছঘাটে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে এই মৌসুমটা হচ্ছে যে পাঙ্গাশের মৌসুম, যার কারণে সব জেলের জালে অনেক-অনেক ধরা পড়ছে পাঙ্গাশ।
কিনতে আসা নূর মোহাম্মদ বলেন, ইলিশ বিক্রির খবর শুনে চাঁদপুর মাছকাটে এসেছি ইলিশ কিনতে কিন্তু এখানে এসে দেখি প্রত্যেকটি আড়তের সামনে বড় বড় পাঙাশ শোভা পাচ্ছে। চাঁদপুর মাছঘাটের আড়তদার নবীর হোসেন জানান, ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় পাঙ্গাস মাছের সাইজ বড় হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই মাছ ঘাটে বড় বড় পাঙ্গাশ পাওয়া যাবে। বর্তমানে বড় আকৃতির পাঙ্গাশের কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর একটু ছোট সাইজের পাঙ্গাশের দাম ৬০০ টাকা কেজি। আমরা আন-সিজনে এসব পাঙ্গাশ ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি।