অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশে অনেক বড় বিদ্রোহ হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।গতকাল শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচআর কনভেনশনের আলোচনায় বক্তৃতা করেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এবার যদি আমরা ফেল করি, তাহলে কিন্তু আরও অনেক বড় বিদ্রোহ হবে। অনেকে মনে করেন এটা ওয়ানটাইম এপিসোড, এটা কিন্তু ওয়ানটাইম এপিসোড না। মানুষের মধ্যে এখনও পূর্ণমাত্রায় ক্ষোভ বিদ্যমান।
তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য আমরা সাধারণত রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা কাদের সহায়তায় করে। ব্যাংকগুলো যে ফাঁকা করেছে, এগুলো কি রাজনীতিবিদরা ভল্ট খুলে নিয়ে গেছে? বিদেশে পাচার করেছে? এগুলোর সহযোগী কারা? এটা একটা গভীর সংকট।
ফাওজুল কবির বলেন, বড় প্রকল্প নেয়ার আগে সেখান থেকে রাজস্ব কতটা আসবে তা বিবেচনা করা উচিত। পদ্মা সেতু ও কর্নফুলি টানেলে তা দেখা হয়নি। এজন্যই এসব প্রকল্প থেকে রাজস্ব আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে। যা অপচয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, খুলনার রূপসায় একটা ৮ হাজার কোটি খরচ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোনো গ্যাস নেই। ফেরার পথে পদ্মা রেল ব্রিজে দেখলাম ৪১ হাজার কোটি টাকা খরচ। শেষ মুহূর্তে সেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ কমানো হয়েছে। রাজস্ব দেখলাম লেখা আছে বছরে ১৪০০ কোটি টাকা। ৬ মাসে দেখলাম এসেছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা। এভাবেই প্রকল্প জাস্টিফাই করা হয়েছে। এগুলো অপচয় ছাড়া কিছুই না। এগুলোর দায় শুধু রাজনীতিবিদদের না, এখানে সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত আছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বড় প্রকল্প নেয়ার আগে রাজস্ব কতটা আসবে, তা বিবেচনা করা উচিত। পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলে সেটা দেখা হয়নি, এ জন্য এখান থেকে রাজস্ব আয়ের চেয়ে অপচয় বেশি হচ্ছে।
সাধারণ চাকরির জন্য বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ দেয়া হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিদেশি ও অভিজ্ঞদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশের সব সেক্টরে হিউম্যান রিসোর্স কম রয়েছে। তাই বিদেশিদের শুধু বড় পদের জন্য বিবেচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর রহমান, ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের (এপিইউবি) চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম।