1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
সিরিয়ায় সুন্নীদের বিজয়: নেপথ্যের নায়ক হযরত ওমরের বংশধর জোলানি » Daily Bogra Times
Logo বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
আজ ১২ ডিসেম্বর রাধা রানী গুপ্তা’র১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী জিডি হলে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে লালমনিরহাটে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ  জয়পুরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মামলা সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজ সেবায় স্বীকৃতি স্বরূপ মানবাধিকার লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ফুল  সান্তাহারে জন্ম নিবন্ধনকৃত শিশুদেরকে পুরষ্কার বিতরণ  সিংড়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত আদমদীঘি রক্তদহ বিলে পানি নেই, বর্তমানে আমন আবাদের সমারোহ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেপরোয়া ট্রলির নিচে চাপা পড়ে রিকশাচালক নিহত ভুরুঙ্গামারীতে ট্রাক ও অটোরিক্সার মুখোমুখি  সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত, আহত ৪ আসছে বিভিন্ন দিবস যশোর ঝিকরগাছায় গদখালী ফুলের রাজধানীতে ব্যস্ত চাষিরা আজ যশোরের মানুষের গর্বের দিন টাউন হল মাঠে হয়েছিলো স্বাধীন দেশের প্রথম জনসভা ভারত থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে বিকল্প বাজারের খোঁজে ভারতে ভাঙ্গা হলো ২০০ বছরের মসজিদ

সিরিয়ায় সুন্নীদের বিজয়: নেপথ্যের নায়ক হযরত ওমরের বংশধর জোলানি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ-
  • রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
সিরিয়ায় সুন্নীদের বিজয়: নেপথ্যের নায়ক হযরত ওমরের বংশধর জোলানি
print news

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি হলো। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর কাঙ্ক্ষিত বিজয় এলো সুন্নীদের। এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। এইচটিএসের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। তিনি খোলাফায়ে রাশেদীনের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর বংশধর বলে জানা গেছে

৮ ডিসেম্বর রোববার এইচটিএস এক বিবৃতিতে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের ঘোষণা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জালিম শাসক বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালিয়েছেন। সিরিয়া এখন মুক্ত। এর মধ্য দিয়ে একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি হলো। আর সূচনা হলো একটি নতুন যুগের।

বাশার আল-আসাদের দেশ থেকে পালানো, তার টানা দুই যুগের সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এইচটিএসের প্রধান জোলানিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই বিদ্রোহী নেতার অতীত-বর্তমান নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে তাঁর কার্যক্রমের একাল-সেকাল তুলে ধরেছে।

আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির আসল নাম আহমেদ হুসাইন আল-শারা। ১৯৮২ সালে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর বাবা সেখানে পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৮৯ সালে তাঁর পরিবার সিরিয়ায় ফিরে আসে। দামেস্কের অদূরে বসতি স্থাপন করে।

দামেস্কে থাকাকালে জোলানি কী করতেন, তা জানা যায় না। ২০০৩ সালে সিরিয়া থেকে ইরাকে এসে তিনি আল-কায়েদায় যোগ দেন। এই বছরই ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন। তখন থেকে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।

২০০৬ সালে জোলানি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হন। পাঁচ বছর আটক থাকেন।

গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে বাশার আল-আসাদ সহিংসতার পথ বেছে নেন। এর জেরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় জোলানি ছাড়া পান। এরপর তাঁর নেতৃত্বে সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে, বিশেষত ইদলিবে শক্তিশালী হতে থাকে।

প্রথম দিকের কয়েক বছর জোলানি আবু বকর আল-বাগদাদির সঙ্গে কাজ করেন। বাগদাদি ছিলেন ইরাকের ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী পরে আইএসআইএল (আইএসআইএস) নাম ধারণ করে।

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বাগদাদি আকস্মিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সিরিয়ায় নিজেদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করেন। একটা পর্যায়ে আইএসআইএল আল-নুসরা ফ্রন্টকে বেশ ভালোভাবে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করে ফেলে। তখনই আইএসআইএলের জন্ম হয়।

জোলানি এ পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন। এ অবস্থায় ২০১৪ সালে আল-জাজিরাকে প্রথমবারের মতো টেলিভিশন সাক্ষাৎকার দেন জোলানি। এতে তিনি বলেছিলেন, তাঁর গোষ্ঠী ‘ইসলামিক আইনের’ যে ব্যাখ্যা দেবে, সিরিয়া সেই অনুযায়ী শাসিত হবে।

তবে কয়েক বছর পর জোলানির মধ্যে পরিবর্তন আসে। তিনি আল-কায়েদার মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোয় ‘বিশ্বব্যাপী খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার প্রকল্প থেকে সরে আসেন। এমন কিছুর পরিবর্তে সিরিয়া সীমান্তের ভেতরে নিজের গোষ্ঠীর তৎপরতা সীমাবদ্ধ করেন জোলানি। জোলানির এ পরিবর্তনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে জোলানির গোষ্ঠীটি বহুজাতিক বা আন্তদেশীয় গোষ্ঠীর বদলে একটি জাতীয় গোষ্ঠী হিসেবে আবির্ভূত হয়।

২০১৬ সালের জুলাইয়ে বাশার সরকার আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইদলিবের দিকে চলে যায়। সিরিয়ার এ অঞ্চল তখনো বিদ্রোহীদের দখলে। এই বছরই জোলানি প্রকাশ্যে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি আল-নুসরা বিলুপ্ত করেন। গঠন করেন নতুন সংগঠন জাভাত ফাতেহ আল-শাম।

২০১৭ সালের শুরুর দিকে আলেপ্পো থেকে হাজার হাজার যোদ্ধা ইদলিবে পালিয়ে আসেন। এ সময়ে বিদ্রোহীদের ছোট ছোট অনেক গোষ্ঠী ও নিজের জাভাত ফাতেহ আল-শাম নিয়ে এইচটিএস গঠন করেন জোলানি।

এইচটিএসের ঘোষিত লক্ষ্যই ছিল বাশার আল-আসাদের স্বৈরাচারী শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। এইচটিএস আজ এই লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা দিল। এইচটিএসের অন্য লক্ষ্যের মধ্যে আছে—সিরিয়ায় ‘ইরানের সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে বিতাড়িত করা’। নিজেদের দেওয়া ‘ইসলামি আইনের’ ব্যাখ্যা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘সবচেয়ে কার্যকর’ ভূমিকা পালন করেছে এইচটিএস ও এর প্রধান জোলানি।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews