মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে উত্তরের হিমেল হাওয়াসহ ঘন কুয়াশার
প্রভাবে প্রচন্ড শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে শীতার্ত অসহায় মানুষজন। উপজেলা শহরসহ
বিভিন্ন হাট-বাজারে ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মধ্যবিত্ত ও নি¤œ আয়ের
মানুষরা ভীড় বাড়ছে।
উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে গতকাল ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত
অসহায় শীর্তাত মানুষের মধ্যে বিতরণ শুরু করা হয়নি কোন কম্বল অথবা শীতের গরম কাপড়।
প্রতিদিনই উপজেলার অসহায় শীতার্ত মানুষরা শীত নিবারনে কম্বল ও গরম কাপড়ের আসায়
সরকারি এবং বে-সকারী প্রতিষ্ঠানে ভীড় করছে। শীতার্ত অসহায় মানুষের জন্য সরকারীভাবে
এখনো কম্বল অথবা গরম কাপড় বরাদ্দ না পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, আগামী সপ্তাহের দিকে কম্বল আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ
করে চরম বেকায়দায় পড়েছে দিনমজুর শ্রেণির খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। শীতের প্রকোপে
জুবুথুবু এসব দিনমজুর শ্রেণির খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা তাদের সংসারের দৈনন্দিন
ব্যায় মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া
সাধারণ মানুষ ঘরের বাহির হওয়া থেকে বিরত থাকছেন। জেলার বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তর
জানান, জেলায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর
শীতের প্রকোপ আরো বাড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে
কয়কেগুণ। কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় গত কয়েকদিন ধরেই সূর্যের দেখা মেলেনি এ জেলায়।
শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ফলে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বর্হিঃবিভাগে রোগীর
সংখ্যাও বাড়ছে বলে সংশ্লষ্টিরা জানান।
সূত্রমতে শীতের প্রকোপে বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে
ডায়রিয়া ও সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশী।
হাসপাতালে প্রয়োনীয় সকল ওষুধ আছে দাবী করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ খুরশিদুল
ইসলাম বলেন, শীত মৌসুমে ওইসব রোগের পাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।