1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
বজ্রপাতের প্রধান কারণ ও বজ্রপাত থেকে বাচার উপায় » Daily Bogra Times
Logo রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
নওগাঁর সাপাহারে গাছের সাথে শত্রুতা, ১ হাজার আমগাছ কর্তন মোস্তাফিজুর হত্যার প্রতিবাদে পত্নীতলায় মানববন্ধন ঘোড়াঘাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবক আটক, পিস্তল ও গুলি উদ্ধার সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত জলবায়ু তহবিলে ৩০০ বিলিয়ন ডলার, পাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি, কুয়াশায় মহাসড়ক একটাই টার্গেট জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ : তারেক রহমান ভিক্ষা না করার শর্তে হজ-ওমরাহতে যেতে হবে পাকিস্তানিদের অপরিণত শিশু জন্মের হারে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষে বগুড়ায় পুনর্মিলনী কনসার্টে ছুরিকাঘাতে প্রান গেলো যুবকের নওগাঁর ধামইরহাটে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ-সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে বণিক সমিতির নতুন কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন  যশোরের শার্শায় এক কেজি গাঁজাসহ আটক-২ সারিয়াকান্দিতে আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

বজ্রপাতের প্রধান কারণ ও বজ্রপাত থেকে বাচার উপায়

নিউজ ডেস্কঃ
  • বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
বজ্রপাতের প্রধান কারণ ও বজ্রপাত থেকে বাচার উপায়
নওগাঁয় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু, আহত ৩
print news

বজ্রপাতের প্রধান কারণ ও বজ্রপাত থেকে বাচার উপায়।

বজ্রপাতের প্রধান কারণ হলো মেঘের মধ্যে স্থাপিত হওয়া আদ্রতা এবং বিভিন্ন পরিবেশের শর্তাবলীর সমন্বয়ে সৃষ্ট হওয়া আপেক্ষিক আদ্যতার ফলে মেঘ ও পৃথিবীর ভেতরে পানির ভরের পারস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট হওয়া বৈদ্যুতিক আদ্যতা।

একটি বজ্রপাতের জন্য প্রথমে মেঘের মধ্যে পানির ভর গঠিত হতে হবে। প্রকৃতির কাছে মেঘ কাঁচামাল হিসেবে পরিণত হয়ে পড়ে এবং কোনো নির্দিষ্ট

একটি বজ্রপাতের জন্য প্রথমে মেঘের মধ্যে পানির ভর গঠিত হতে হবে। প্রকৃতির কাছে মেঘ কাঁচামাল হিসেবে পরিণত হয়ে পড়ে এবং কোনো নির্দিষ্ট উপস্থিতিতে সংঘটিত হতে পারে যেমন তীব্র উচ্চতা, তাপমাত্রা, তরঙ্গবেগ, ভূমিকাগত আদ্যতা ইত্যাদি। এই আদ্যতাগুলির সমন্বয়ে পানির ভরের পরস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় এবং বিদ্যুতিক আদ্যতা উত্পন্ন হওয়ায় বজ্র দিয়ে জালানি সৃষ্ট হয়।

উপস্থিতিতে সংঘটিত হতে পারে যেমন তীব্র উচ্চতা, তাপমাত্রা, তরঙ্গবেগ, ভূমিকাগত আদ্যতা ইত্যাদি। এই আদ্যতাগুলির সমন্বয়ে পানির ভরের পরস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় এবং বিদ্যুতিক আদ্যতা উত্পন্ন হওয়ায় বজ্র দিয়ে জালানি সৃষ্ট হয়।

বিভিন্ন কারণে মেঘের ভেতরে এই আদ্রতা গঠিত হতে পারে, যেমন:

  1. তীব্র উচ্চতা: মেঘ উচ্চ স্থানে গঠিত হলে তীব্র উচ্চতা সৃষ্টি হয় এবং বজ্রপাত ঘটতে পারে।
  2. তাপমাত্রা: আদ্রতা গঠিত হতে হলে মেঘের ভেতরে তাপমাত্রা সঠিক মাত্রায় থাকতে হবে। তাপমাত্রা বেশি হলে মেঘে ভেতরের জন্য বিদ্যুতিক আদ্রতা গঠিত হয় এবং বজ্রপাত ঘটতে পারে।
  3. তরঙ্গবেগ: মেঘে তরঙ্গবেগ অনুপস্থিতি থাকলে বজ্রপাত সম্ভব নয়। তরঙ্গবেগের উপস্থিতিতেও বজ্রপাত ঘটতে পারে।
  4. ভূমিকাগত আদ্যতা: যখন একটি ভূমিকাগত আদ্রতা মেঘের উপর আছে, যেমন মেঘের সাথে আদ্রতা পার্থক্য, মেঘ ও পৃথিবীর মধ্যে বিদ্যুতিক আদ্রতা পার্থক্য ইত্যাদি, তখন বজ্রপাত সম্ভব হতে পারে।

এইভাবে মেঘের ভেতরে সৃষ্ট হওয়া বৈদ্যুতিক আদ্রতা ও সাথে পানির ভরের পরস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত সৃষ্টি হয়।

বজ্রপাত থেকে বাচার উপায়ঃ

* বজ্রঝড় সাধারণত ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাবেন, এটি বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেবে।

* বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে যদি থাকেন তাহলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।

* বজ্রপাতের আশংকা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া উচিত হবে না।

* বজ্রপাতের সময় যে কোন ধরণের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে, ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।

* খালি জায়গায় যদি উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ার থাকে, তার কাছাকাছি থাকবেন না। বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক ।

* বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়াই উচিৎ হবে। সমুদ্রে বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।

* যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ রাখা যাবে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে দেড়’শোর মত মানুষ মারা যান।

বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে হাওর অঞ্চলে। মানুষ ছাড়াও বজ্রপাতে প্রচুর গবাদি পশুও মারা যায়।

মৃত্যুর সংখ্যা বিচার করে বাংলাদেশের সরকার বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে//।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews