সর্বশেষ :

দিনাজপুরে তীব্র শীতের দাপট: ঘন কুয়াশায় স্থবির জনজীবন


কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫ । ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
দিনাজপুরে তীব্র শীতের দাপট: ঘন কুয়াশায় স্থবির জনজীবন
সংগৃহীত ছবি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ-
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতের কবলে পড়েছে এলাকাবাসী। মধ্য পৌষেই তীব্র শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। টানা তিন দিন সূর্যের মুখ না দেখায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মাঠে কাজ করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ। নিম্নআয়ের লোকজন পুরোনো শীতবস্ত্র কিনে বা খড়কুটো-কাঠ জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ফুলবাড়ী পৌরশহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। সূর্যের আলো না পাওয়ায় শ্রমজীবীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রায় স্থবির। জীবিকার তাগিদে একাধিক গরম কাপড় পরে কাজে বের হয়েছেন দিনমজুররা, কিন্তু সাধারণ দিনের তুলনায় রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল অনেক কম। রিকশাচালকরা যাত্রী না পেয়ে শীতের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অলস বসে আছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে, যা দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
উপজেলার চকচকা গ্রামের দিনমজুর মনতা হোসেন বলেন, “প্রচণ্ড শীত আর উত্তরের হাওয়ায় মাঠে কাজ করা খুব কষ্টকর। তবু সংসার চালাতে বের হতে হয়। কাজ না করলে পরিবারের খাবার জোগাড় হবে না।”

একাধিক রিকশাচালক জানান, কুয়াশায় লোকসমাগম কম থাকায় যাত্রী মিলছে না। শীতের কারণে অনেকে রিকশায় উঠতেও চান না। তবু জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিন বের হতে হচ্ছে। এদিকে ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এ ধরনের আবহাওয়া আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।


বিটি/এনআরসিএ


[scriptless]